তোমাকে আমি লাইক করি : মুনিয়াকে শারুন

রাজধানীর গুলশানে তরুণী মোসারাত জাহান (মুনিয়া) আত্মহ’ত্যার প্ররোচনায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের পর এবার উঠে এসেছে চট্টগ্রাম—১২ আসনের সাংসদ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল হক শারুন চৌধুরীর নামও।

ইতোমধ্যে মুনিয়ার সাথে শারুনের হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের স্ক্রিনশটগুলো ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে।তবে এসব স্ক্রিনশট সম্পূর্ণ ভুয়া বলে উড়িয়ে দেন হুইপপুত্র নাজমুল হক শারুন। তিনি বলেন, মুনিয়া আত্মহ’ত্যা ঘ’টনার সাথে আমার কোনো সম্প’র্ক নাই।

এই স্ক্রিনশটগুলো আমার নয়। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরীক্ষা—নিরীক্ষা করে দেখতে পারেন।সূত্র থেকে প্রা’প্ত ত’থ্যানুযায়ী, ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত এইসব স্ক্রিনশট নিয়ে ত’দন্ত শুরু করেছে পু’লিশের একাধিক সংস্থা। জি’জ্ঞাসাবাদ করেছে শারুনকেও।

বি’ষয়টি স্বীকার করে শারুন বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে একটি সূত্র তার কাছে কিছু ত’থ্য জানতে চেয়েছিলো। তবে কে তাকে ফোন করেছিলেন, সে ব্যাপারে হুইপপুত্র কিছু বলতে চাননি।

সূত্র আরও জানায়, শারুনের স’ঙ্গে মোসারাতের পরিচয় ছিল। গত বছর মোসারাত ফেসবুকে তার স’ঙ্গে যোগাযোগ করেন। এছাড়া মুনিয়ার বড়বোনও শারুনকে চিনতেন—এমন ত’থ্যই উল্লেখ ছিলো স্ক্রিনশটে।

এ বি’ষয়ে জানতে মুনিয়ার বড় বোনকে কল করা হলে মোবাইল রিসিভ করেন তার চাচাত ভাই ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, মুনিয়ার ডায়েরি,মোবাইলসহ বেশ কিছু জিনিস পু’লিশ জ’ব্দ করে নিয়ে গেছে। মোবাইলে কি ছিল আমি জানিনা। আপা জানতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আপা এখন ও’ষুধ খেয়ে ঘুমাচ্ছেন। উঠলে আপনাকে কল দিতে বলবো। এর পর ঐ নাম্বারে অনেক বার কল দেওয়া হলেও তিনি আর রিসিভ করেননি।হোয়াটসঅ্যাপে ওই কথোপকথনে মোসারাত মুনিয়া শারুনকে লেখেন, তিনি ভালো নেই।

এরপর লেখেন, ‘উনি তো আমাকে বিয়ে করবে না। কী করব আমি?’ জবাবে শারুন লেখেন, ‘আগেই বলেছিলাম, ওর কথা শুনো না। ও আমার বউকে বলছে বিয়ে করবে, কিন্তু করে নাই। মাঝখানে আমার মেয়েটা মা ছাড়া হয়ে গেছে।’

এছাড়াও চ্যাটিং অন্য কেউ দেখলে সমস্যা হবে বলে শারুন মুনিয়াকে এসএমএস করলে মুনিয়া উত্তর দেন ‘জি না। আমি ডিলিট করে দিই সব। সম্রাট চলে যাওয়ার পর আপনিতো জানেন আমি কত ক’ষ্টে ছিলাম। আপনি ঐ টাইমে আমার পাশে না থাকলে আমি কি করতাম জানিনা।”